সর্বশেষ

বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে পুড়িয়ে দেয় ভোটকেন্দ্র: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

প্রকাশ :


/ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক /

২৪খবর বিডি: 'মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার তিনটি পথ—ভোটযুদ্ধ, গণ–অভ্যুত্থান বা সশস্ত্র যুদ্ধ। বিএনপি একটি নির্বাচন করেছিল। গণ–আন্দোলন করে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মাত্র ১৫ দিনের মাথায় সেই সরকারের পতন ঘটিয়েছিলাম। সশস্ত্র যুদ্ধ করেও রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া যায়। ১৯৭১ সালে আমরা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়েছিলাম। আপনারা কোন পথে যেতে চান আমরা জানি না। যদি মনে করে থাকেন, বহির্বিশ্বের কোনো প্রভু আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে, তাহলে দিবাস্বপ্ন দেখছেন।'
 
'শনিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত ৮০-৯০ দশকের গাজীপুর ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
-তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার কোন পথই জানে না। তারা নির্বাচনে না গিয়ে ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়, মানুষ হত্যা করে, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। অথচ এগুলো করে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। 
 
 
'পুনর্মিলনী কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল হাদী শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক করেন গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি।'
 
 
* সদ্য প্রয়াত বরেণ্য সাংবাদিক, গীতিকার ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি শুধু একুশের গানই রচনা করেননি তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশে পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কথা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি জয়বাংলা পত্রিকা সম্পাদনা করে মুক্তিযোদ্ধাদের খবর সর্বত্র পৌঁছে দিয়েও মহান দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেছেন ঠিকই; কিন্তু আওয়ামীলীগের নীতি আদর্শের প্রতি তার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ছিল অগাধ।
 
বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে পুড়িয়ে দেয় ভোটকেন্দ্র: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
 
মন্ত্রী আরও বলেন, 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। জাতির পিতার হাতে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রলীগ জাতির দু:সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হওয়ার পর তাদের লেজুরবৃত্তি করতে ছাত্রসংগঠনের জন্ম হলেও একমাত্র ছাত্রলীগের ইতিহাসই ব্যতিক্রম। এর ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস। '
 
-অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রশাসক আখতারুজ্জামান, মহানগর আওয়াম লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান, মহানগর আওয়ামী গের সহ-সভাপতি কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, আবদুল হালিম সরকার, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান লস্কর মিঠু, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির হিমু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ ফরিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হীরা সরকার প্রমুখ।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত